মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও পরিচিতি :
মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের ইতিহাস ও পরিচিতি করতে গেলে প্রথমে যার নাম উঠে আসে তিনি হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আব্দুল মান্নান সরকার। একাধারে তিনি ছিলেন নেকটার সাবেক (নট্রামস্) শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বগুড়া এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। যার হাত ধরে অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরী হয়েছে। ঠিক “মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ” ও প্রতিষ্ঠা হয়েছে তাঁর হাত ধরেই। নট্রামস্ হতে অবসর গ্রহণ করার পর তিনি লক্ষ্য করে যে,
(ক) বাংলাদেশের সকল মন্ত্রণালয় এর অধীনে অভিন্ন নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন: সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে সেনানিবাসগুলোর অধীনে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, মিলেনিয়াম স্কলাস্টিকা স্কুল এন্ড কলেজ, আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ, জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অধিনে পরিচালিত বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, পুলিশ লাইন্স্ স্কুল এন্ড কলেজ ইত্যাদি।
(খ) এমনকি স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জামায়াতে ইসলামী আইডিয়াল/আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ এবং ইসলামী ব্যাংক টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট নামে জেলা/উপজেলা পর্যায়ে শতশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছে। এই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি কোষাগার থেকে এমপিও গ্রহণ করছে।
তাই তিনি শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ যেন চির স্বরণীয় হয়ে থাকে এই জন্য ২০০৯ সালে বগুড়া জেলার, বগুড়া পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে
“মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ এবং মুক্তিযোদ্ধা স্কয়ার প্রকল্প-২০০৯” নামে একটি প্রকল্প হাতে নেন। অনেক সমন্বয়হীনতার মধ্যে দিয়ে প্রকল্পটি পরিচালতি হলেও ২০১৭ সালে তিনি বগুড়া জেলার ১২ টি উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত করে ১২টি মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ এর কার্যক্রম শুরু কলেন। ২০১৮ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আব্দুল মান্নান সরকারকে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব দিয়ে বিদ্যালয়গুলোর অনুমোদন প্রদান করেন।