মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ এ ২০১৮ইং থেকে ……………..ইং চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাবেক জিপি বগুড়া বার।
মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের তৃতীয় মেয়াদের চেয়ারম্যান ছিলেন। বহুভাষী সাটলিপির জনক প্রফেসর আব্দুল মান্নান বগুড়ায় স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলন কারী আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন ১৯৬৯ সালে বৃহত্তর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন মমতাজ উদ্দিন। স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিব বাহিনীর প্রথম ব্যাচ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং বগুড়ার কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এবং ৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দুঃসময়ে বগুড়ায় আওয়ামী লীগের হাল ধরেন তিনি। প্রথমে প্রচার সম্পাদক, তারপর সাংগঠনিক সম্পাদক পরবর্তী সময়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এ বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ছাত্রাবস্থাতেই ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর মমতাজ উদ্দিন ১৯৭২ সালে বগুড়া জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। তার দু’ বছর পর ১৯৭৪ সালে তিনি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবং পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন ১৯৮২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরশাদের শাসনামলে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেন। এরপর তিনি ১৯৮৫ সালে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ওই পদে প্রায় এক দশক দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯৪ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০০৪ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। তার প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিনিয়র সদস্য (ক্রমানুযায়ী দ্বিতীয় সদস্য) নির্বাচিত হন।
রাজনীতিবিদ ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তিনি বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একাধিকবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এ একাধিকবার পরিচালক নির্বাচিত হন।
কয়েক বছর আগে তিনি ‘প্রভাতের আলো’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। তিনি ওই পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি বগুড়া ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। ১৭ ফেব্রয়ারী ২০১৯ এ মহান নেতার জীবনাবসান ঘটে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বগুড়া বার সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মোঃ রেজাউল করিম মন্টু। তিনি বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার বাসিন্দা এবং জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বগুড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবর রহমান ১৯৪৫ সালের ৩১ জানুয়ারী জন্ম গ্রহন করেন। তিনি একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ এবং বগুড়া-৫ ( শেরপুর-ধুনট ) আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মো. হাবিবর রহমানের পৈতৃক বাড়ী বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার জালশুকা গ্রামে। বাবার নাম মোজাহার আলী আকন্দ। হাবিবর রহমান ধুনট হাই স্কুল থেকে ১৯৬০ সালে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে তিনি একজন ভালো ক্রীড়াবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্লু প্রাপ্ত হন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি সিভিল সার্ভিস পুলিশে যোগদান করেন। পেশায় কৃষি ভিত্তিক ব্যবসায়ী ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. হাবিবর রহমান রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন। তিনি টানা তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মুজিব নগর সরকারের তিনি রাজনৈতিক কো- আরডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।